দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাজ হওয়া উচিত জনকল্যাণমূলক - ভূমি উপদেষ্টা
ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন ভূমি প্রশাসন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। বর্তমানে এসি ল্যান্ডরা শুধু ভূমি প্রশাসনের কাজেই নয়, বরং প্রশাসনের নানাবিধ দায়িত্বেও যুক্ত। কিন্তু দায়িত্ব যতই বহুমাত্রিক হোক না কেন, ভূমিসেবায় কোনো প্রকার গাফেলতি গ্রহণযোগ্য নয়। ভূমি সংক্রান্ত সমস্যায় সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়, আর এই হয়রানি দূরীকরণই সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাজ বহুমাত্রিক হলেও তাঁর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অক্টোবর ২০২৫ এর কমিশনার সমন্বয় সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।
উপদেষ্টা বলেন, ভূমি অফিসগুলো আমরা কেমন দেখতে চাই এবং জনগণ কেমন দেখতে চায় সেরকম ভূমি অফিস হতে হবে। ভূমিসেবাকে আধুনিক ও সহজ করতে সরকার ইতোমধ্যে একাধিক উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মূল চালিকা শক্তি এসি ল্যান্ডগণ এবং তাদের পথপ্রদর্শক কমিশনারগণ। তাই তাঁদের দায়িত্ব শুধু প্রশাসনিক নয়, এটি এক ধরনের জনসেবামূলক অঙ্গীকার। সততা ও নিষ্ঠার সাথে অনলাইনে ভূমিসেবা প্রদানে সফলতার জন্য আটজনকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে ভূমি উপদেষ্টা জানান।
সভায় জানানো হয় সারা দেশে একযোগে অক্টোবরের ৩০ তারিখ নামজারির ভার্সন ২.১ সফটওয়ার চালু করা হবে এবং ভূমি উন্নয়ন করের একটি অ্যাপসও চালু করা হবে। সঠিকভাবে অনলাইনে ভূমিসেবা কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ছয় হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের ৬১টি জেলায় ৮১৫টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
সমন্বয় সভায় বিভাগীয় কমিশনারগণসহ আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ব্ধতন কর্মকর্তারা।
সূত্রঃ পিআইডি