সরকার টেকসই ও সবুজ পর্যটনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে - শিল্প উপদেষ্টা
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, টেকসই ও সবুজ পর্যটনকে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিবেশগত টেকসই এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় একটি হোটেলে ‘সাসর্টেইনেবল প্র্যাক্টিসেসে ইন গ্রিন ট্যুরিজম’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
আদিলুর রহমান খান বলেন, আমাদের রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, সোনারগাঁও, রামপাল, বজ্রযোগিনী এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল। যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তিনি বলেন, বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান খুব বেশি নয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, গ্রিন ট্যুরিজম বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল খাত। বিশ্বে ইকো ট্যুরিজমের আকার ৬০০ মিলিয়ন ডলার, যা ছোট কমিউনিটির মধ্যে সীমিত রয়েছে। বাংলাদেশের টেকসই ও গ্রিনের উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে।
ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও), বাংলাদেশ এবং এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও), জাপানের যৌথ আয়োজনে এ কর্মশালায় বাংলাদেশসহ ২৪টি এপিওভুক্ত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক, গবেষক ও পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করছে। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক মোঃ নুরুল আলম।
চার দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক কর্মশালায় ট্রুরিজম, সাসটেইনেবল- ইকো ট্যুরিজম, ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ে ১৫টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এপিও) সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা সাসটেইনেবল ট্যুরিজম বিষয়ে গবেষণা ও ধারণাপত্র তুলে ধরবেন।
সূত্রঃপিআইডি
