শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন ব্যক্তির সামগ্রিক সুষম বিকাশ সাধন - প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন ব্যক্তির সামগ্রিক সুষম বিকাশ সাধন - প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

 প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন ব্যক্তির সামগ্রিক সুষম বিকাশ সাধন। যদি জাতি হিসেবে ভালো থাকতে চাই তাহলে এর বিকল্প নাই। আর্থিক স্বচ্ছতা থাকলেও প্রকৃত শিক্ষা না থাকলে সুস্থিত জীবন যাপন করতে পারব না। শিক্ষাটা অবশ্যই আনন্দময় হওয়া উচিত। শিশুদের যুক্তিশীলতা, সৃজনশীলতা এবং অন্যের প্রতি দায় দায়িত্ব শেখানো উচিত। তা না হলে আমরা আগাতে পারব না। শুধু শিক্ষক নয়, একজন নাগরিক হিসেবে বিষয়টি ভেবে দেখবেন। এর অন্য কোনো পথ নাই।

 

উপদেষ্টা গতকাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মাঠ প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেবব্রত চক্রবর্তী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন মিয়া।

 

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের টার্গেট ঠিক করতে হবে। শিশুরা যাতে মাতৃভাষায় সাবলীলভাবে লিখতে, পড়তে ও গণিত করতে পারে-সে বিষয়টি অবশ্যই করতে হবে। এর থেকে নীচে নামা যাবে না। শিশুরা কেন পারে না সেটা দেখতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি মানুষের ন্যূনতম যে আকাক্সক্ষা সেটা পূরণ অসম্ভব নয়। মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে হবে- এর কোন বিকল্প নাই।

 

জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, পিটিআই সুপার, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর, অভিভাবক, শিক্ষকগণ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলায় ৬৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

 

উপদেষ্টা পরে কক্সবাজারের লংবীচ হোটেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফ আয়োজিত 'লোকাল লেভেল অফিসিয়ালস অন ইমপ্রুভড এক্সেস এন্ড ইউজ অভ্ ওয়াস ফ্যাসিলিটিস' বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। 

 

উপদেষ্টা এরপর কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারনালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং রামু টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা স্কিলফো' প্রকল্পের (পাইলট)  চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

 

উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা ‘স্কিলফো’ প্রকল্পটি (পাইলট) কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় চলমান আছে। প্রকল্পের মেয়াদ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে ২০২৫ এর ৩০ জুন পর্যন্ত।

 

 

সূত্রঃপিআইডি