সুখে-শান্তিতে দেশের মানুষ, তৃপ্তি নিয়ে ছাড়বো পৃথিবী: মুহিত

সুখে-শান্তিতে দেশের মানুষ, তৃপ্তি নিয়ে ছাড়বো পৃথিবী: মুহিত

দেশের ‘মানুষ সুখ-শান্তিতে’ থাকায় এখন পরম তৃপ্তি নিয়ে পৃথিবী ছাড়তে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে একথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “গ্রাম-গঞ্জে এখন আর হাড্ডিসারশূন্য মানুষ পাওয়া যায় না। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গাড়ি চালিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। রাজধানী অথবা সিলেটে বিমান অবতরণের আগে জানালা পথে নীচে তাকালে উন্নয়নের চেহারা দৃশ্যমান হয় অবলীলায়।

“এসব কারণে আমার ফিলিংসটা হলো- অবশেষে যখন যাবোই এ পৃথিবী থেকে, তখন পরম তৃপ্তি নিয়ে যাবো যে দেশের মানুষ সুখ-শান্তিতে রয়েছে।”

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুহিত।

তিনি বলেন, “প্রবৃদ্ধির হার স্থিতাবস্থায় রাখার পাশাপাশি বৃদ্ধিতেও সক্ষম হয়েছি আমরা। এসব কারণে বলতে পারি ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে আমার মনে একটা দারুণ তৃপ্তি এসেছে।

“যে স্বপ্ন দেখতাম, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন, যা নিয়ে এক সময় অনেকে হাসি-ঠাট্টা করতো, অথচ এখন আমরা সেই সোনার বাংলার পথেই রয়েছি।”

২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী ১০ বছরকে বাংলাদেশের জন্যে স্বর্ণযুগ আখ্যা দেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আরেকবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে পারলে দারিদ্র্যসীমা ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে; চরম দারিদ্র্যের হার কমে ৭ শতাংশে নামবে।

“আর এই ৭ শতাংশের অধিকাংশই হবে চলাচলে অক্ষম কিংবা কাজে অক্ষম জনগোষ্ঠী, যাদেরকে সরকার অর্থ-সহায়তা দেবে।”

‘বুদ্ধিতে, কৌশলে, জনকল্যাণে শেখ হাসিনার মতো এমন আরেকজন নেতা পৃথিবীতে পাওয়া বড় কষ্টকর’ বলে উল্লেখ করেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য ডেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এ মোমেন বলেন, “নিকট প্রতিবেশী ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমারের চেয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচক সবক্ষেত্রে অগ্রগামী। এটি সম্ভব হচ্ছে উন্নয়নের সাথে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করায়। আর সে কারণে অন্য দেশের মতো বাংলাদেশে ধনী ও গরিবের ব্যবধান খুব বেশি নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছেছে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল আলিম খান সেলিম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা আকতার হোসেন, সৈয়দ বসারত আলী, লুৎফুল করিম, শামসুদ্দিন আজাদ, ফারুক আহমেদ, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আবুল হাসিব মামুন, ফরিদ আলম, শাহানারা রহমান, খোরশেদ খন্দকার, মমতাজ শাহানা, তৈয়বুর রহমান টনি, এম এ মালেক ও সাখাওয়াত বিশ্বাস এসময় উপস্থিত ছিলেন ।

অনুষ্ঠানে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, পঁচাত্তরে জাতির জনকসহ তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জেল হত্যাকাণ্ডের শিকার জাতীয় চার নেতা, একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলার নিহতদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

ছবি ও খবরঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম