‘পণ্যের দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা টিকবে কিভাবে?’
বিদেশি ক্রেতাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পণ্যের দাম বাড়ানো না হলে ব্যবসায়ীরা টিকবে কিভাবে? তাই আপনারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে পণ্যের দাম বাড়ান।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে ‘ক্যাপাসিটি ব্লিডিং অব রিমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল - আরসিসি: শেয়ারিং প্রগ্রেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শ্রমসচিব আফরোজা খান ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার ব্যবসা বান্ধব, শ্রমিক বান্ধব এবং ব্যবসায়ী বান্ধব। প্রধানমন্ত্রী সব শ্রেণীর কথা ভাবেন। শ্রমিকরা আমাদের জীবন, আমাদের প্রাণ। মজুরি কমিশনের মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি পাবে। তবে মনে রাখতে হবে বেতন বৃদ্ধি হলো কিন্তু পণ্যের মূল্য বাড়লো না, তাহলে ব্যবসায়ীরা টিকবে কিভাবে? তারা শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, তাই বিদেশি ক্রেতাদের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশ থেকে অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স চলে যাবে। এই অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স যে কাজ করেছে তার চাইতে ভালো কাজ করবে আরসিসি। আমরা দায়িত্ব নিতে সক্ষম। আমরা তাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি তারা যে কাজ করেছে তার চাইতে ভালো কাজ করবো।
বিদেশিদের কাছ থেকে কোন চাপ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাপ টাপ বুঝি না। তবে মনে রাখতে হবে চাপ দিয়ে সরকারের কাছ থেকে কিছু আদায় করা যাবে না। চাপ থাকতেই পারে সেদিকে আমাদের কোনো দৃষ্টি নাই।
তিনি বলেন, বিগম পাঁচ বছরে আর রানা প্লাজার মতো ঘটনা ঘটেনি। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি দেশে আর রানা প্লাজা ঘটবে না।
ন্যাশনাল ইনিসিয়েটিভের আওতাধীন ১ হাজার ৫৪৯টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ভবনের কাঠামোগত বিষয়ে দেখভাল করা, অগ্নি এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডাইফ’র অধীনে ২০১৭ সালের ১৪ মে সংস্কার সমন্বয় সেল বা (আরসিসি) গঠন করা হয়।
আরসিসি’র তত্ত্বাবধানে গত ২১ জুন বিজিএমইএ ভবনে মালিক প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভায় ত্রুটিপূর্ণ কারখানাগুলোর সংস্কার/স্থানান্তর করার জন্য আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সব শেষ ৭৫৫টি কারখানাকে এ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের নির্ধারিত ২ হাজার ৫৫৯টি কারখানার সংস্কার কাজ এরইমধ্যে প্রায় শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশের পোশাক কারখানা ও অন্যান্য কল কারখানার নিরাপত্তা দেখভালের জন্য অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স কাজ করতো। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর তারা আর বাংলাদেশে থাকছে না। কলকারখানার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করার জন্যই আরসিসি গঠন।
সূত্র ও ছবি ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম