জয়ের নামে গাজীপুর ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় গাজীপুর ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের’ (স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় ভোর ২টা ১৪ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করে। ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তার কার্যক্রম শুরু করেছে। এই দু’টি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে স্যাটেলাইট সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হলো।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দু’টির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর গাজীপুরের তেলীপাড়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ব্যাকআপ গ্রাউন্ড স্টেশন।
অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন দু’টির নাম সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রীর প্রস্তাবকে গ্রহণ করে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দু’টির নাম বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে নামকরণ করা হয়।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে গেছেন। আর সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছি। মুজিব থেকে যাত্রা শুরু করে আমরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে পৌঁছে গেছি।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভিডিও কনফারেন্সে গাজীপুর থেকে সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে সার্বক্ষণিক মহাকাশে থাকা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর গতিবিধি ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর এখন গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে সংকেত পাঠানো হচ্ছে এবং সফলভাবে স্যাটেলাইট থেকে সংকেত গ্রহণ করছে। গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে ট্র্যাকিং ও কন্ট্রোলিংয়ের কাজ হচ্ছে এবং পুরো সিস্টেমটিকে টেস্ট করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব টেস্ট ও ট্র্যাকিংয়ের কাজ সফলভাবে শেষ করার পর যেকোনো সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কমার্শিয়াল অপারেশনে (বাণিজ্যিক কার্যক্রম) যাবে।
সূত্র ও ছবিঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম