বিএনপির ৭ দফা অযৌক্তিক

বিএনপির ৭ দফা অযৌক্তিক

বিএনপির সাত দফা দাবিকে অযৌক্তিক, অবান্তর এবং সংবিধান বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির এই সাত দফা দাবি অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং কোন কোনটি সংবিধান বিরোধী। তাছাড়া নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার আর মাত্র এক মাস বাকি। এর মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা নিজেরাও ক্ষমতায় থাকলে এই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নিতে পারতো না। অসাংবিধানিক দাবি কেউ মেনে নিতে পারে না।

সোমবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে সারাদেশে সাত দিনব্যাপী গণসংযোগের প্রথম দিন গুলশান কাঁচাবাজারে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।

নির্বাচনকে সামনে রেখে অক্টোবরের শুরুতে সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সারাদেশের সিটি করপোরেশনগুলোতে ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচিটি চলছে। এর অংশ হিসেবে ওবায়দুল কাদের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গণসংযোগে অংশ নেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দাবিগুলো তারা শুধুমাত্র বলার জন্য বলছে। তাদের নেতাকর্মীদের চাঙা করতে এইসব আবোল-তাবোল দাবি তুলছে। তারাও জানে এই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

কাদের বলেন, আমি যেকোনো সহিংসতা, নাশকতা ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা মারামারি, হানাহানি ও পাল্টাপাল্টির মধ্যে নেই। বিএনপিসহ কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি যদি সহিংসতা-নাশকতা করে, তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করবো। এটাই হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।

‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য শয়তানের সঙ্গেও জোট করবো’ বিএনপির এক নেতার এ মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শয়তানের সঙ্গে যারা জোট করে, তারা নিজেরাই শয়তান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ কে দখল করতে আসে দেখবো। আর আসলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এর জবাব দেবে। আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে নিরীহ। আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার। আমরা জনগণের কাছে যাবো। কোনো ধরনের উত্তেজনা ছড়াবো না।

চলমান গণসংযোগ সম্পর্কে কাদের বলেন, গণসংযোগ কোনো প্রার্থীর নয়, শুধু হবে নৌকার। সকল ওয়ার্ড, মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে শুরু হয়েছে এটাই প্রথম কর্মসূচি। আমরা ক্যামেরার সামনে লোক দেখানোর গণসংযোগ করবো না।

তার সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ থানা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।

সংবাদঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম