স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে সংস্কৃতিকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে - সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাঁরা সবসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে সংস্কৃতিকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আগামীতে তারা এ বিষয়ে আরো সজাগ ও সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক পর্ষদ’ আয়োজিত ১১ দিনব্যাপী (২১-৩১ অক্টোবর) ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসব। ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রীর বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এ উৎসবের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, একইসঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও এ উৎসবের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ আলম সারোয়ার এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহকাম উল্লাহ।
উল্লেখ্য, উৎসবে ভারত-বাংলাদেশের ১১১টি দল নাটক, যাত্রা, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও পথনাটকে অংশগ্রহণ করছে।
সূত্রঃপিআইডি