বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা প্রদান করতে প্রস্তুত রয়েছে : পলক
ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত হলো ‘বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো ২০২২’ শীর্ষক একটি সম্মেলন।
রাজধানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই কোরিয়ার সাথে সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি লাভ করেছে। আরএমজি সেক্টরে ৪০ বছর আগে থেকেই কোরিয়ার সাথে আমরা কাজ শুরু করি। বর্তমানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি দেশ হিসেবে আরএমজি সেক্টরে স্বীকৃত।
পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের এই লক্ষ্য অর্জনে বন্ধুদেশ হিসেবে পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরিতে কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কোরিয়ার প্রাইভেট সেক্টর আমাদের দেশে খুব ভালোভাবে কাজ করছে এবং একই সাথে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা প্রদান করতেও প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্টার্টআপ, উদ্ভাবক এবং নতুন সম্ভাবনাময়ী উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এই রোড শো আমাদের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করবে এবং তাদের জন্যে খুবই সহায়ক হবে। ‘বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আগামীতেও এ ধরনের কোলাবরেশন এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে আগ্রহী’।
প্রতিমন্ত্রী ড্রোন প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করে বলেন, পানি দূষণ রোধে ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া, তিনি ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণদের ড্রোন টেকনোলজি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান।
রোডশোর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ থেকে উপস্থাপনাসহ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। সম্মেলনে কোরিয়ার ৬টি প্রতিষ্ঠান তাদের ড্রোন ও জিআইএস বিষয়ক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, কে-বিডি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়ং ওহ রিউসহ আরো অনেকে। ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি, কোরিয়ান ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি এবং স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সূত্রঃপিআইডি ও তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক পেইজ