তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়- পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি বিবেচনা করে তামাক চাষ ও এর ব্যবহার বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে একযোগে কাজ করা হবে। তামাক চাষের বিকল্প কৃষি পণ্য চাষের জন্য তামাক চাষিদের প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ তামাক চাষ বন্ধে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজে তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী ধানমণ্ডির ঢাকা আহছানিয়া মিশন মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ‘পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, তামাকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী তামাকের ব্যবহার নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই দূরদর্শী ঘোষণা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনী পাসে পরিবেশ মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। তিনি আরো বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবসায়ীগণ যাতে অবৈধভাবে বৃক্ষনিধন না করতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। ধূমপানের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। দেশকে ধূমপানমুক্ত করতে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশের আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য সবাইকে একযোগে আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম এবং ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
সূত্রঃ পিআইডি