যতদিন বেঁচে থাকবো প্রযুক্তির উৎকর্ষের লড়াই নিয়েই বাঁচবো -ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তরুণদের ডিজিটাল উদ্ভাবন প্রদর্শন এবং তাদের উদ্ভাবনী প্রতিভাকে কাজে লাগানোর জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলাকে একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, যতদিন বেঁচে থাকবো ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষের লড়াই নিয়েই বাঁচবো। তিনি বলেন, এই মেলার মাধ্যমে অনাবিস্কৃত মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা- ২০২৩’ এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এই মেলার মধ্য দিয়ে আমরা ডিজিটাল যুগের অর্জনগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানবসম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ এর অন্যতম মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত মেলায় তরুণদের উদ্ভাবন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমাদের সন্তানদের রোবটসহ মেলায় যে সব উদ্ভাবন তারা প্রদর্শন করেছে আমি নিশ্চিত যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা বিশ্ব জয় করার যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হবেই। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের মেধা যে কোন দেশের তরুণ-তরুণীদের চেয়ে অনন্য। তাদের একটু অনুপ্রেরণা দিলেই হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার এই উদ্ভাবক বলেন, আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্ডের যে সুযোগটি আছে তা কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজে লাগাতে হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও বার্তায় মেলার উদ্বোধন করেন। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সংযুক্তির মহাসড়ক’ এই বছরের প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এবারের মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং জেডটিইর বাংলাদেশ অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিউ লিয়ান জেং বক্তৃতা করেন।
এই মেলায় ৫২টি প্যাভিলিয়ন এবং ৭৭টি স্টল বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করে। মেলায় ৮টি সেমিনারের মাধ্যমে মন্ত্রী এবং অভিজ্ঞ বক্তারা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
পরে মন্ত্রী অনলাইন রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সেরা স্টল ও স্পন্সরদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করেন তিনি।
সূত্রঃপিআইডি