কর্পোরেট এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রাপ্তি আমাদের জন্য গৌরবের - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, পানির অপর নাম জীবন হলেও মানুষ একসময় পানির জন্য হাহাকার করত। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এ সময় তিনি পানির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, গার্হস্থ্য, কৃষি বা শিল্পখাতে পানির দরকার থাকলেও খাবার সুপেয় পানির অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার পার্টনার ড্রিংকওয়েলের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্পোরেট এক্সিলেন্স পুরস্কার ২০২২ প্রাপ্তি আমাদের জন্য গৌরবের কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশে মানুষ এখন পানিও কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করতে পারছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকা ওয়াসার পার্টনার ড্রিংকওয়েল এটিএম প্রোগ্রামের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্পোরেট এক্সিলেন্স পুরস্কার ২০২২ প্রাপ্তি ও হস্তান্তর উপলক্ষ্যে ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার কাজ শেষ করতে না পারলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ছোট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ আজ তার বিশাল জনসংখ্যার সবার ক্ষুধার চাহিদা মেটাতে পারছে। তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন করেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল বা কর্নফুলি টানেল একসময় অকল্পনীয় ছিল কিন্তু তা এখন বাস্তব।
তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে সরকারের সাফল্য তুলে মন্ত্রী বলেন, এখন গ্রাম ও পাহাড়ের মানুষও বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আসার ফলে সবক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ড্রিংকওয়েলের মতো বেসরকারি উদ্যোগকে ওয়াসা সহায়তা করার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পানি প্রাপ্তি সহজ হয়েছে।
সূত্রঃপিআইডি