জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুদূষণ রোধে সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - পরিবেশ উপদেষ্টা

জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুদূষণ রোধে সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - পরিবেশ উপদেষ্টা
জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুদূষণ রোধে সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - পরিবেশ উপদেষ্টা

 

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুদূষণ রোধে সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুদূষণ একদিনে দূর করা সম্ভব নয়। নিজ এলাকায় অসঙ্গতি দেখলেই উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। জনগণের চাপ থাকলেই সরকারের কাজ কার্যকর হয়। আমাদের মানসিকতা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন করতে পারলে নির্মল ভবিষ্যত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

 

রাজধানীর খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে গতকাল  বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আয়োজিত ‘ক্লিন এয়ার ম্যুরাল পেইন্টিং ইন ঢাকা’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে আঁকা দেয়ালচিত্র দেখে উপদেষ্টা বলেন, এই চিত্রগুলোর বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট ও সঠিক। তোমরা যেভাবে অংশ নিয়েছ, তাতেই আজকের বাংলাদেশ বদলের সম্ভাবনা দেখি। আজ তোমাদের চিত্রে আমরা নতুন আশার আলো দেখি। একদিন ঢাকার বাতাস শীর্ষ দূষণের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবেই।

 

আমি বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। খিলগাঁওয়ে সবুজায়নের সুযোগ থাকলে বন অধিদপ্তররে উদ্যোগে সেখানে গাছ লাগানো হবে।  

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল এস মার্টিন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল স্পেশালিস্ট Eun Joo Allison Yi, খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন কুমার রায়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। শিক্ষার্থীরা নীল আকাশ, সবুজায়ন, স্বচ্ছ বাতাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বার্তা তুলে ধরে দেয়ালচিত্র প্রদর্শন করে।

 

পরে উপদেষ্টা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড আয়োজিত ‘রাউন্ডটেবিল অন প্রোটেকটিং ঢাকার রিভার্স অ্যান্ড ক্যানালস ফ্রম প্লাস্টিক ওয়েস্ট থ্রু সার্কুলার ইকোনমি আন্ডার দ্য থিম সেভ ক্যানালস, সেভ সিটি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি এসময় প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত জীবনে প্লাস্টিক ও পলিথিন পরিহারের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

 

 

সূত্রঃ পিআইডি