তিন জেলার মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

তিন জেলার মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর উপর নবনির্মিত ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (০৩ জুন) সকালে  গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় এলজিইডি’র বাস্তবায়িত এ সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি। 

এ সেতু বাস্তবায়নের ফলে রংপুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। আর মধ্য রমজানে ধরলা নদীর উপর নির্মিত দ্বিতীয় সেতুটি উদ্বোধন করে তা এই তিন জেলার মানুষকে ঈদ উপহার হিসেবে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে আমি গিয়েছি। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের প্রতিটি উপজেলায় গিয়েছি। সেখানকার মানুষের সমস্যার কথা শুনেছি। সরকারে আসার পর এসব মানুষের উন্নয়নে নানা উদ্যোগও নিয়েছি।  

‘ধরলা নদীর উপর প্রথম সেতু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই হয়েছিল। এবার ধরলার দ্বিতীয় সেতুটি কুড়িগ্রাম, রংপুর ও লালমনিরহাটের মানুষকে আমি ঈদ উপহার হিসেবে দিয়েছি। এটি আপনারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ধরলার প্রথম সেতু আমি উদ্বোধন করে যেতে পারিনি। তা পরবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের মাস-দুয়েকের মধ্যে উদ্বোধন করে। কিন্তু তারা তখন বলে আগের সরকার কোনো উন্নয়ন করেনি। অথচ আমাদের করা সেতুই গিয়ে তারা উদ্বোধন করেছি। যদিও পরবর্তীতে ওই সেতু দিয়ে যাতে আমি চলাচল করতে না পারি সেজন্য পাথর ফেলে তা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। পরপর দুইবার ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করেছি। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে যে উন্নয়ন করা যায় তা আমরা করে দেখিয়েছি। 

‘আমার কোনো চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। মা-বাবাসহ সব হারিয়েছি। আমার লক্ষ্য একটাই এ দেশের উন্নয়ন করে যাওয়া। আমার বাবা আজীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, তিনি স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আমি তার দেখানো পথে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি।’ 
 
বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধি দেশ। এর ‍সুফল ভোগ করবে দেশের মানুষ। 

 

সূত্র ও ছবি ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম