'খালেদা প্রকৃত অসুস্থ হলে হাসপাতাল ঠিক করতে এত সময় নিতেন না'
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অনেকেই মনে করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ নন। প্রকৃতপক্ষে অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নির্বাচনে এত সময়ক্ষেপণ করতেন না।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে খালেদা জিয়া যেতে না চাওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময় নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়; অথচ সেনাবাহিনীর হাসপাতাল সিএমএইচে যেতে তার অনীহা। খালেদা জিয়ার ইউনাইটেড হাসপাতাল পছন্দ করার পরিপ্রেক্ষিতে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঢাকাতে ওই হাসপাতালের (ইউনাইটেড হাসপাতাল) চেয়ে বড় ও ভালো হাসপাতাল রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াকে আদালত সাজা দিয়েছেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। দলের নেতারা তার মুক্তির জন্য কাজ করছেন। তারা এ মুক্তির জন্য আন্দোলনও করতে পারেন। কিন্তু সেই আন্দোলন যদি ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো করার কথা তারা ভাবেন; তার সুযোগও নেই, সামর্থ্যও নেই। ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ আছে। এর ৯০ দিন আগে যে কোনো দিন নির্বাচন হবে। ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সেই সময়। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা সহায়ক সরকার বলে বাংলাদেশে আর কিছু হবে না উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। বিএনপির পক্ষ থেকে সম্প্র্রতি দাবি করা হয়েছে- খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে নিতে চায় বিএনপি। তবে সরকার খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নিতে চায়। এতে খালেদা জিয়া রাজি হননি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়াকে সিএমএইচে চিকিৎসা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি জানিয়েছে, খালেদা জিয়া সিএমএইচে যাবেন না। তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চান।
সূত্র ও ছবিঃ দৈনিক সমকাল