‘কোটা সংস্কারের পর কেউ চাকরি না পেলে কিছু করার নেই’

‘কোটা সংস্কারের পর কেউ চাকরি না পেলে কিছু করার নেই’

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: কোটা সংস্কারের পরও মফস্বলের কেউ যদি চাকরি না পান তাহলে অন্তত আমাদের কেউ দায়ী করতে পারবেন না। যাদের জন্য কোটা করেছি তারাই যদি কোটা না চান, সেজন্য আমি বলেছি কোটা পদ্ধতিই থাকবে না।

বুধবার (২৭ জুন) রাতে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা ব্যবস্থা করা হয়। যাদের জন্য কোটা করেছি তারাই যদি না চান তবে রাখার দরকার কী। কেবিনেট সেক্রেটারির মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানেই ঠিক হবে। এরপর যদি কেউ মফস্বলে চাকরি না পান তখন আমাদের কেউ দায়ী করতে পারবেন না। 

অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়: প্রধানমন্ত্রী

বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার কথা বলায় তাকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
 এসময় শেখ হাসিনা নিজের সন্তানদের লেখাপড়ার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আমার ছেলে এমআইটিতে চান্স পেয়েছিলো। আমি খরচ দিতে পারিনি বলে ভর্তি হতে পারেনি। এরপর ২০০৭ সালে আবার ভর্তি করাই। তখন আমি প্রধানমন্ত্রী, তারপরেও তার খরচ দিতে পারিনি।
 
‘বলেছিলাম প্রথম সেমিস্টারের টাকা আমি দিয়ে দেবো। তারপর তো আমি গ্রেফতার হয়ে গেলাম। তবে বলে গিয়েছিলাম পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয়, যেভাবেই হোক পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে’। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেহানার মেয়ে অক্সফোর্ডে চান্স পেয়েছিলো। সে স্টুডেন্ট লোন নিয়ে পড়াশোনা করলো। এরপর চাকরি করে লোন পরিশোধ করে। সে ২১ বছর বয়স থেকে চাকরি করছে। এরপর আবার চাকরি ছেড়ে দিয়ে কয়েক বছর আগে মাস্টার্স করেছে। এখন আবার চাকরি করছে। আর আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বলতে গেলে একদম ফ্রি পড়াশোনা করানো হয়।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া খরচ কতো? তারপরেও যদি তারা ভাঙচুর করে এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। সেজন্য কোটা পদ্ধতি বাদ দিয়ে দিয়েছি।

ছবি ও সূত্র ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম