বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ-দেউলিয়া-উন্মাদ দল
বিএনপিকে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ-দেউলিয়া-উন্মাদ দল হিসেবে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (০৭ জুলাই) দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগের তৃতীয় পর্বের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা পাওয়া এবং বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপির সংবিধানে ছিলো কেউ দুর্নীতিবাজ হলে বা আদালতের মাধ্যমে সাজা পেলে নেতা হতে পারবেন না। কিন্তু তারা সেটা বাতিল করে একজন দুর্নীতিবাজকে দলের প্রধান করেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার মানে দুর্নীতিবাজ হলে, চোর হলে, সামাজিক ভাবে অপরাধী হলে, দেউলিয়া হলে, উন্মাদ হলে বিএনপি করা যাবে। এতে প্রতিয়মান হয় বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, অপরাধী, দেউলিয়া-উন্মাদের দল।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া যাবে না বলেও নেতা-কর্মীদের সাফ জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।
খুলনা, গাজীপুরের মতো আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি সঙ্গে সংলাপের সম্ভবনা নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুনর্বাসন করেছে তাদের সঙ্গে কি সংলাপ করা যায়? যারা ১৫ আগস্টের খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে তাদের সঙ্গে কি সংলাপ করা যায়? যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো, আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছিলো, তাদের সঙ্গে কি সংলাপ করা যায়?
তিনি বলেন, এত কিছুর পরও গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া তা প্রত্যাখান করেছিলো। আরাফাত রহমান মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দেখতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তারা গেট খোলেনি। এর মাধ্যমে তারা সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিশেষ বর্ধিত সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তৃতীয় পর্বের বিশেষ বর্ধিত সভায় ঢাকা ময়মনসিংহ. রংপুর ও খুলনা বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তৃতীয় পর্বের এ বর্ধিত সভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার ওয়ার্ড সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং নির্বাচিত দলীয় কাউন্সিলরা উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৩ জুন জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলার চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রথম পর্যায়ের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বর্ধিত সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভায় দলের নেতাকর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্র ও ছবি ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম