উদ্বেগ নাই, তবে সতর্কতা আছে: কাদের
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, আমাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ নাই, তবে সতর্কতা আছে। আমরা সতর্ক আছি। বিএনপি সমাবেশ ডেকেছে, এখন আমাদের পাল্টা কর্মসূচি নেই। সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় থাকবে এটাই আমাদের নির্দেশ। দেশজুড়ে শহর, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক জরুরি সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির সভাটা কবে হবে, এটা তো এখনও ঠিক হয়নি। বিএনপি জোর করে ২৯ তারিখে করবে? কেন এই জেদাজেদি? অনুমোদন ছাড়া আপনি সভা করবেন, এত লাফালাফি কেন? ১০ বছরের ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারেন নাই। এখন আপনি হঠাৎ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে খুশি করে ব্যর্থতা ঢাকার জন্য লাফালাফি করছেন। এত লাফালাফির পরিণাম শুভ হবে না। হুমকি-ধমকি দিয়ে আন্দোলন করবেন, আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবো, তা হবে না?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আমরা সরকারি দল, আমাদের ভরা কলসি, ভরা কলসি নড়ে না। যাদের শূন্য কলসি তারাই ফাঁকা আওয়াজ করে। আমাদের উত্তেজিত হওয়ার প্রয়োজন নাই। আমরা কারো উস্কানির ফাঁদে পা দিবো না।
‘দেশের মানুষ খুশি, নির্বাচন হবে। পরিবেশটা শান্তিপূর্ণ থাকবে এটাই আমরা চাই। আমরা নির্বাচনের জন্য সুশৃঙ্খলভাবে সংগঠিত হচ্ছি। দেশের অর্ধেক অংশে আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সময়ে কেন আমরা সংঘাত করবো, আমরা তো ক্ষমতায় আছি। আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করবো না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, আমাদের কর্মসূচি আমরা দিবো। কারো কোনো কর্মসূচি দেখে পাল্টা কর্মসূচি আমরা দিবো না। দেশের মানুষকে আতঙ্কে রাখার রাজনীতি আমাদের প্রয়োজন নাই। নিবার্চন পর্যন্ত পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে।
১৪ দলের ২৯ সেপ্টেম্বরের নাগরিক সভা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দল পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে, নিজেরা বসেছে। এখন তারা মহানগর নাট্যমঞ্চে আরও একটু বড় পরিসরে সমাবেশ করতে চায়। এটা বিএনপির সঙ্গে কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে সভা-সমাবেশে যদি নৈরাজ্য, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। আর সহিংসতা ও নাশকতার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে আমরা সপ্তাহব্যাপী রাজধানীসহ দেশজুড়ে গণসংযোগ করবো। আমরা ভোটারদের কাছে যাবো, বাড়িতে বাড়িতে যাবো এবং গণসংযোগ করবো। আমরা রাস্তায় অবরোধ করে মানুষের জন্য দুর্ভোগ হবে এমন কোনো সভা-সমাবেশ করবো না।
‘রাস্তা অবরোধ/বন্ধ করে কাউকে সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা নিজেরাই নিয়ম মেনে চলছি। অন্য কেউ নিয়মভঙ্গ করে রাস্তায় প্রেসক্লাবের সামনে ও পল্টনের রাস্তায় সভা-সমাবেশ করবে- সেটা অ্যালাউ করা হবে না, জনগণের দুর্ভোগ কিছুতেই হতে দিবো না,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সূত্র ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম