সংলাপে বিদেশিদের কোনো চাপ ছিল না: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশে রাজনৈতিক কোনো সমস্যা নেই। দেশ সাংবিধানিকভাবে চলছে। সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বর্তমান সরকার কোনো কিছু করেনি। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার জন্য ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক সিদ্ধান্তে বিদেশি কোনো চাপ ছিল না।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের কায়েমপুর এলাকায় জেলা কারাগারের পাশে জেলা রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ৪ তলা ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক একথা বলেন।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ঐক্যজোট বলে একটা জোট হয়েছে ভালো কথা। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক অধিকার সবার আছে। তাদের অতীত ইতিহাস সবার জানা, তারা দিনেরবেলায় এক কথা বলে, রাতেরবেলায় আরেক কথা বলে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন, তারা সংলাপ চান। প্রধানমন্ত্রী সেই সংলাপের প্রত্যাশার ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। যখন বঙ্গবন্ধু ছিলেন তখন ৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা হতো। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ারা এসে এই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেন। উন্নয়নে তাদের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার এসে এখন বাংলাদেশকে একটি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে উন্নয়নের যে রূপরেখা দিয়েছেন এটা মানুষ কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে ১১ হাজার কোটি টাকা থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেয়। এই খাতকে অন্য সরকার শুধু অবহেলাই করেনি তাদের মর্যাদা পর্যন্ত দিতে কার্পণ্য করেছে। ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল, জিয়া-এরশাদ সরকারের সময় এই অফিসগুলো ছিল জীর্ণ ভবন অথবা টিনের শেড দেওয়া ঘরে। দলিল লেখক ভাইদের জন্য ঠিকানা ছিল মাথায় টিন নিচে মাটি। খুব ভালো হলে অর্ধ পাকা মেঝে। ভবন তো দূরের কথা নিজস্ব কোনো জমিও ছিল না রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের।
মন্ত্রী বলেন, অবহেলাকে পেছনে ফেলে গত ৫ বছর প্রতিষ্ঠানটি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কারণ গত ৫ বছরে এই প্রতিষ্ঠানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে যা অতীতে কোনো সরকারের আমলে হয়নি। দলিল লেখকদের বয়সসীমা ৬৫ রোহিতকরণ, বিদেশে ট্রেনিং, আইনসহ অনেক উন্নয়ন এই ডিপার্টমেন্টে হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। আর তাই উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করুন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিবন্ধনের মহাপরিদর্শক ডা. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, উপ-সচিব (প্রশাসন) মাহবুবুর রহমান, উপ-সচিব (রেজিস্ট্রেশন) নাজমুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, জেলা সাব রেজিস্টার সাবিকুন নাহার, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরীন বেগম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ।
সূত্র ও ছবি ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম