আমদানি করা গুঁড়োদুধের চেয়ে মিল্ক ভিটা পুষ্টিযুক্ত!

আমদানি করা গুঁড়োদুধের চেয়ে মিল্ক ভিটা পুষ্টিযুক্ত!

ইউরোপ থেকে যে গুঁড়ো দুধ আমদানি করা হয় তার থেকে আমাদের দেশের মিল্ক ভিটা অনেক পুষ্টিযুক্ত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। আর্সেনিক পরীক্ষায় মিল্ক ভিটায় কোনো আর্সেনিক পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। এসময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া সভাপতিত্ব করেন।

স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সমবায় নীতি গ্রহণ করেছিলেন সেই সমবায় নীতিতে আমরা আবার ফিরে যাবো। 

বাজেটে গুঁড়োদুধের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোকে তিনি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ডেনমার্কসহ ইউরোপ থেকে যে গুঁড়োদুধ আসে সেটা পরিত্যক্ত ও সেখানে খাওয়া হয় না। সেটা আমাদের দেশে ট্যাক্স দিয়ে আনা হয়। এই গুঁড়োদুধ আমদানির ফলে আমাদের দেশের পুষ্টিযুক্ত দুধ মিল্ক ভিটা মার খাচ্ছে। গুঁড়োদুধের আমদানিখাতের উপর ট্যাক্স বাড়ায় মিল্ক ভিটার জন্য সুবিধা হবে। 

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি বিভাগ পরীক্ষা করে নাকি বলেছে মিল্ক ভিটায় আর্সেনিক রয়েছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি মিল্ক ভিটায় কোনো আর্সেনিক নেই। পরীক্ষায় কোনো আর্সেনিক পাওয়া যায়নি। যে সমস্ত গুঁড়োদুধ আমদানি করা হয় তার থেকে আমাদের মিল্ক ভিটার দুধ অনেক ভালো এবং অনেক পুষ্টিকর দুধ।’ 

আলোচনায় বিএনপির সমালোচনা করে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, সামরিক জান্তা জিয়ার অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যার কথা আমরা ভুলিনি। জিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সেনা সদস্যদের হত্যা করেছিলেন। জেলের মধ্য থেকে বহু মানুষকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হতো তা জানা যেতো না। জিয়া যুব কমপ্লেক্স করার মাধ্যমে যুব সমাজকে হাটবাজার লুটপাটসহ অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত করেছেন, যুব সমাজকে ধ্বংস করেছেন। এদের মুখে দুর্নীতি সুশাসনের কথা মানায় না।

সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম