বিমানের আধুনিকায়নে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের নতুন নতুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বিমানবাহিনীকে আরও আধুনিকায়নে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরাপদ উড্ডয়নেরও আহ্বান জানান।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সুরক্ষা সেমিনারের সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সরকারি এই সংস্থাটিকে বিশ্বের আরও অনেক দেশের সঙ্গে নতুন নতুন রুট সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে। আর এতে দেশের পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটবে। গত ১১ বছরে আমরা বিমানের বহরে বোয়িংয়ের চারটি অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার যোগ করেছি। ছয়টি সাধারণ প্লেনও যোগ হয়েছে। একইসঙ্গে আরও দুটি কেনার প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল বানানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে আমরা যে পরিমাণ যাত্রীসেবা দিতে পারি, এর চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ বেড়ে যাবে। বছরে প্রায় ১২ মিলিয়নের বেশি যাত্রীসেবা দেওয়া সম্ভব হবে এই বিমানবন্দরে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আরও উন্নত এবং আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। এছাড়া বাগেরহাটে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে স্টেট অব আর্থ-থ্রিডি হেলিকপ্টার সিসুলেট স্থাপন করা হয়েছে। যা থেকে আমাদের পাইলটরা রিয়েল টাইম ফ্লাইংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করে উপকার পাচ্ছেন।
‘চলতি বছলের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমরা সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস করেছি। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করছি বিশ্বমানের অ্যাভিয়েশন জ্ঞান দেওয়ার জন্য। লালমনিরহাটে এটি নির্মাণ হবে।’
খবর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবিঃ পিআইডি