চলচ্চিত্র হচ্ছে সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী একটি মাধ্যম -আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

চলচ্চিত্র হচ্ছে সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী একটি মাধ্যম -আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

সিনেমা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ থেকে বাংলাদেশে ১৩টি সিনেমা হল বানানো হচ্ছে এবং এই বছরের মধ্যে রাজশাহীতে একটি সিনেপ্লেক্স উদ্বোধন করা হবে। আর বাকি বারোটা ২০২৫ এর মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, আগামী দিনে সাইবার জগৎ-কে নিরাপদ ও নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে অন্যতম একটি উদ্যোগ হিসেবে ‘অন্তর্জাল’ নামক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে, যার ইংরেজি অর্থ হচ্ছে ‘ইন্টারনেট’।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক গতকাল ঢাকার মহাখালীর এস কে এস টাওয়ারে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সে অ্যাকশন-থ্রিলার বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর প্রদর্শন শেষে তাঁর বক্তব্যে এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দামাল ছেলে-মেয়েরা চলচ্চিত্র অঙ্গন কাঁপাচ্ছে। তারা পুরো বাংলাদেশকে বিশ্বাঙ্গনে নিয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের বিষয়। আমাদের তরুণরা আগামী দিনের বঙ্গবন্ধুর একটি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তুলবে আর সেই যাত্রাটা শুভ সূচনা হয়েছে মাত্র। তিনি আরো বলেন, চলচ্চিত্র হচ্ছে সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী একটি মাধ্যম। আর এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা সমাজের নাগরিকদের সচেতন করতে পারি আবার একই সাথে সুস্থ বিনোদন দিতে পারি।

 

পলক বলেন, ‘বাংলা হোক ইংরেজি হোক আমি সিনেমা পাগল একদম ছোটবেলা থেকে। অনেকদিন আমরা মন মতো বাংলা সিনেমা দেখতে পারতাম না। সিনেমা হলে এসে দেখার পরিবেশটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিবেশটা আবার ফিরে এসেছে। আমরা সবাই সিনেমা হলে আসবো, সিনেমা দেখব, পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপভোগ করব এবং আশা করবো যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিশ্বাঙ্গন দখল করবে।

 

সবশেষে প্রতিমন্ত্রী ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর পরিচালক দীপংকর দীপন ও অভিনয় শিল্পীসহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা চাই আমাদের তরুণরা তাদের সৃজনশীলতা ও মেধা দিয়ে আমাদের দেশের মানুষের মন জয় করুক, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করুক, প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করুক, আর বিশ্বাঙ্গনে আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও চলচ্চিত্র বিশ্বজয় করুক।

 

 

সূত্রঃপিআইডি