অটোগ্যাস ব্যবহারে নীতিমালা হচ্ছে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় অটোগ্যাস ব্যবহারে আগ্রহী হবে সাধারণ মানুষ। তাই সরকার এর মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। এজন্য একটি নীতিমালা তৈরি করছে জ্বালানি বিভাগ।
শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি অটোগ্যাস স্টেশন উদ্বোধনের সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
অটোগ্যাস মূলত তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস, যা এলপিজি নামে পরিচিত। বাসবাড়িতে এলপিগ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার বাড়লেও দেশের পরিবহন খাতে এই জ্বালানিটি নতুন। সাশ্রয়ী বলে দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তে নতুন জ্বালানি হিসেবে অটোগ্যাসকে জনপ্রিয় করতে চায় সরকার। এর মধ্যে সারাদেশে দুই হাজার অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন করার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। তবে নতুন এই গ্যাসের দাম নির্ধারণ ও বিপণন ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত সরকারের কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় শুক্রবার 'গ্যাস ওয়ান কোম্পানির' অটোগ্যাস স্টেশন উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। দেশি ওমেরা পেট্রোলিয়াম ও জাপানের 'সাইসাস ওয়ানের' যৌথ উদ্যোগে এ কোম্পানিটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই কোম্পানি ঢাকায় আরও দুটি স্টেশন থেকে অটোগ্যাস বিপণন শুরু করছে। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'যানবাহনে মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ থাকলে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্য সম্পর্কে সচেতন হবে।' নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় অটোগ্যাস দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী অটোগ্যাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা শামসুল আলম, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী এবং সাইসাস ওয়ানের চিফ অপারেটিং অফিসার তমুহিকু কায়ামুতু বক্তব্য দেন।
সূত্রঃ দৈনিক সমকাল
ছবিঃ সংগৃহীত