নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের 'শোকেস' মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরের ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল, মোংলা বন্দরে আপগ্রেডেশন, পায়রা বন্দরের পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়া, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে চারটি জাহাজ সংগ্রহ, স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়নসহ মেরিটাইম সেক্টরে অনেক উন্নয়ন হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী তিন বছরের মধ্যে অনন্য উচ্চতায় চলে যাবে। এ মন্ত্রণালয় সরকারের আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করেন। মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত ১১টি দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এবং দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে এর প্রধানগণ এপিএতে স্বাক্ষর করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর ফোন করা প্রমাণ করে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের কোন অবস্থানে আছেন তিনি। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বিভিন্ন দেশ নৌ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে এবং করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অধিনস্ত দপ্তর ও সংস্থার উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু চুক্তি সই নয়, সেগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ সেকেন্দার আলী খান এবং অফিস সহায়ক জিসান আহমেদ সানি শুদ্ধাচার পুরস্কার পায়।
সূত্রঃপিআইডি