খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই - আইনমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই - আইনমন্ত্রী

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদনের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফোজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী  কোন দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, তবে সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার আর কোন সুযোগ এই আইনে থাকে না। ঠিক সেই কারণে  ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১,২,৩,৪,৫ ও ৬ ব্যাখ্যা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠানো হয়েছে।

 

মতামতে বলা হয়েছে, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটা ‘পাস্ট এন্ড ক্লোজড ট্রানজ্যাকশন'’, এটা খোলার আর কোন সুযোগ নেই।

 

আজ সচিবালয়ে মন্ত্রী নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এর আগে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজদের জন্য আয়োজিত ১৪তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গতিশীল বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে শোষিত-বঞ্চিত-নির্যাতিত এবং অসহায় মানুষগুলো স্বল্প খরচে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। তাঁর দৃষ্টিতে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত  হলে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। এ কারণে তিনি আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সবসময় তৎপর ছিলেন। দেশকে স্বাধীন করার পর আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু বহু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যার অনেক কিছুই তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের হলেও, এক্ষেত্রে বিচার বিভাগের গুরুদায়িত্ব রয়েছে। আর এ দায়িত্বের মূলে রয়েছেন বিচারকরা।

 

মন্ত্রী বলেন, বিচারকদের অন্যতম দায়িত্ব হলো ন্যায়বিচারের ধারণার সাথে স¦াভাবিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকা। অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো নাগরিকদের অধিকারে সমতা আনা এবং একই সাথে কার্যকর বিচার সম্পন্ন করে অভিযুক্তদের অধিকারের ভারসাম্য রক্ষা করা। কারণ সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচারের অধিকার না থাকলে আইনের শাসন অর্থহীন হয়ে পড়ে।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বিচারকদেরকে অবশ্যই প্রচলিত জুডিসিয়াল পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তবেই সফল ও সার্থক বিচারক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে ।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।

 

 

সূত্রঃপিআইডি