মাদককে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে সরবরাহ ও উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মাদকের অবাধ ব্যবহার এবং মাদককে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে সরবরাহ ও উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ দেশের সকল সচেতন নাগরিককে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মাদকাসক্তি: অপরাধ নাকি মানসিক রোগ এবং এর প্রতিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ৷
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। মাদকের প্রবেশ পথগুলো চিহ্নিত করতে হবে ৷ একইসাথে মাদক ব্যবসা বা মাদক সরবরাহের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মাদকের ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা ও বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং মাদকবিরোধী কার্যক্রম এতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাদকের শারীরিক ও মানসিক প্রভাব সম্পর্কে তথ্যসমূহ সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকাসহ অন্যান্য শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধূলার মাঠ সংকট উঠতি বয়সি ছেলেদের মাদকাসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ যার ফলে উঠতি বয়সিরা মাদক ব্যবহারে আকৃষ্ট হচ্ছে। একটি নগর পরিকল্পনায় যেমন ২৫ শতাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা জরুরি, ঠিক তেমনি ড্রেনেজ, খেলাধুলা এবং বিনোদন ব্যবস্থার জন্য ১৫ শতাংশ থাকতে হবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, বরেণ্য সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ ডা. অরূপ রতন চৌধুরী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন ।
সূত্রঃপিআইডি