বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) গবেষণার ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও তা রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। বর্তমান সরকার এখাতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।
উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ‘টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনে মাছের প্রজাতিগুলোর রক্ষ করা অপরিহার্য। মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক লাভের আশায় কিছু মানুষ মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহার করে থাকে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি মানুষ ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
বিএফআরএই'র মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই এর ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিএফআরআই এর বিজ্ঞানী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্যজীবীসহ সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ পিআইডি