আসিয়ান-সার্ক সম্পর্কে সেতু হতে পারে বাংলাদেশ: পরিকল্পনামন্ত্রী
আসিয়ান ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সেতুবন্ধন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে গঠিত জোট আসিয়ান- এর ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে ‘ঢাকা আসিয়ান কমিটি’ (ডাক) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব দিয়ে শান্তিপূর্ণ এশিয়া গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়েও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এআরএফ এবং আসিয়ানের পারস্পরিক সম্পর্ক শুধু দুটি ঐতিহাসিক অঞ্চলের মধ্যে শুধু সেতুবন্ধই রচনা করবে না, এর সঙ্গে বিনিয়োগ বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়েও অবদান রাখবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, “দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আসিয়ানের প্রবেশদ্বার থাইল্যান্ড। ওদিকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা সার্কের শেষ সীমান্তে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশ আসিয়ান ও সার্কভুক্তদেশগুলোর মাঝে সম্পর্কের সেতু হতে পারে।
“এসব দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ১০ সদস্যের আসিয়ান জোটে নতুন সদস্য হিসেবে বাংলাদেশেরও অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সদস্য হওয়ার পাশাপাশি আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে চাই আমরা।”
অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পৃথিয়াসমিয়ারসি সোমারনোসহ আসিয়ান দেশগুলোর হাই কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন উসহ অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম একটি আলোচ্য বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যা। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত বিপদাশঙ্কাপূর্ণ সমস্যা। এটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে, আসিয়ানের মত আন্তর্জাতিক জোটের ভূমিকা এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য।”
১৯৬৭ সালের ৮ অগাস্ট আসিয়ান প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ‘ডাক’ এর যাত্রা শুরু হয়।
সূত্র ও ছবিঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম