রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সুষ্ঠু প্রত্যাবর্তনে প্রস্তুত ভারত: সুষমা স্বরাজ
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ‘নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে সহায়তা করতে ভারত প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দেশটি।
মিয়ানমার সফরে গিয়ে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে লন্ডনে এক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে মানবাধিকারকর্মীরা। ‘জাস্টিস ফর রোহিঙ্গা মাইনরিটি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনটি শুক্রবার লন্ডনের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদর দফতরের সামনে থেকে শুরু হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দু’দিনের সফরে সুষমা বৃহস্পতিবার মিয়ানমার যান।
এই সফরে দেশটির নেত্রী ও সরকারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে রাখাইন রাজ্য ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারতের সহায়তার কথা বলেন তিনি। দু’দিনের সফরে মিয়ানমারে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শুক্রবার তিনি দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করা ছাড়াও রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের ‘রোহিঙ্গা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। তাদের আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাখাইন রাজ্যের উন্নয়ন ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের ফিরিয়ে আনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে বিবৃতিতে।
মিয়ানমারে সুষমা-সু চি বৈঠক
সুষমা ও সু চির বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও আঞ্চলিক অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আর নিউজ এইটটিনের খবরে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের শান্তি, নিরাপত্তা উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা করেছেন তারা।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা।
এ ঘটনায় বিশ্ব সম্প্রদায় মিয়ানমারের সমালোচনায় মুখর হলেও অনেকটা নীরব থেকেছে ভারত। রাখাইনে সামরিক অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছে দেশটি।
সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর
ছবিঃ সংগৃহীত