অস্ট্রেলিয়ার নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন দেশটির সাবেক সাংবাদিক

অস্ট্রেলিয়ার নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন দেশটির সাবেক সাংবাদিক

অস্ট্রেলিয়ার নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন দেশটির সাবেক সাংবাদিক মিশেল ম্যাককরমাক। তিনি বার্নাবি জয়েসের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ম্যাককরমাক দেশটির একটি আঞ্চলিক পত্রিকার সাবেক সম্পাদক। দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদার ন্যাশনাল পার্টি ম্যাককরমাককে দলীয় প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়ায় তিনি আপনা-আপনি অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন।

যৌন কেলেঙ্কারির জেরে গত শুক্রবার উপপ্রধামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দেন জয়েস । তিনি তাঁর দল ন্যাশনাল পার্টির প্রধানের পদও ছাড়বেন বলে জানান। এদিন তিনি বলেন, সোমবার (আজ) পদত্যাগ করবেন।

জয়েসের পদত্যাগের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল পার্টির আইনপ্রণেতারা ম্যাককরমাককে নেতা নির্বাচন করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের উপপ্রধান হন।

যৌন হয়রানি ও সাবেক এক সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে জয়েসের ব্যাপক সমালোচনা হয়। তিনি প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন। অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সমালোচনার অবসান হওয়া উচিত।’

দুই বছর উপপ্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করেন জয়েস। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়া ম্যাককরমাক অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত মুখ নন। ২০১০ সালে তিনি প্রথম পার্লামেন্টে যান।

রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ ম্যাককরমাক ১৯৯৩ সালে সমকামিতা নিয়ে একটি কলাম লিখে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।

ন্যাশনাল পার্টির নেতা হয়ে আজ ম্যাককরমাক সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর পূর্বসূরি সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী জয়েস একজন অসাধারণ নেতা। দল ও দেশের জন্য তাঁর যে অবদান, তা কখনো ক্ষয়ে যাবে না। তাঁর উত্তরাধিকারের ধারা টিকে থাকবে।

 

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো

ছবিঃ সংগৃহীত