চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে

সন্ত্রাস-দুর্নীতিসহ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

রোববার (২৩ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে অধীন দপ্তরগুলোর বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ আসছে তা আমরা চিন্তা করছি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই প্রতিনিয়ত চিন্তা করছে, পরিকল্পনা করছে। কী ধরনের দুর্নীতি সারা বিশ্বে হয়, সেগুলোর তথ্য তারা সংগ্রহ করছে। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রস্তুত করছে। আমরা সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ রক্ষা করে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছি, আমরা আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। যাতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরাপত্তার বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। যারা এই ধরনের ক্রাইম করে তারা যথেষ্ট মেধা নিয়ে ক্রাইম করে। ইদানিং দেখছি সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য আমরা সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে শক্তিশালী করছি। সাইবার ক্রাইম দমনের জন্য আমাদের পুলিশের একটা ইউনিটই গঠন করেছি। আমাদের এনটিএমসিকে শক্তিশালী করছি। 

‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সক্ষমতা দেখাচ্ছে, অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। সব ধরনের খবরকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে। শ্রীলংকায় একটা ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য আমরা সব ধরনের একটা সমন্বয় ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, সবাই সজাগ ছিলাম বলে ঘটনা ঘটেনি।’

জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ, আনছার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্টগার্ড, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং এনটিএমসি’র প্রধানরা চুক্তিতে সই করেন। 

চুক্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। আমাদের নির্বাচনে যে টার্গেটগুলো ছিল তা বাস্তবায়নে কাজ করবে। আমাদের সফলতার হার ৯৭ শতাংশের উপরে। কাজেই শতভাগ তেমন কিছু নয়।

নিরাপত্তা এবং দুর্নীতি বড় চ্যালেঞ্জ- এ বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা একটা ব্যাপক কাজ। সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কাজ করছে। আমরা বহু চ্যালেঞ্জ এরইমধ্যে মোকাবিলা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা নিরাপত্তা বিভাগকে তাদের সক্ষমতা, দক্ষতা তাদের যা যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী তার ব্যবস্থা করেছেন বলেই আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারছি। আমরা মনে করি ভবিষ্যতে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনছার, এনটিএমসি, অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সবাই তাদের কাজ সঠিকভাবে করছে। সে জন্যই আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। 

দুর্নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সব সময় দুর্নীতি ছিল। ভবিষ্যতে যাতে দুর্নীতি কমে যায় তার একটা পরিকল্পনা আমাদের সরকারের আছে। আমরা সেই কাজটি করে যাচ্ছি। একটা স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে যে কাউকে তলব করছে। যেখানে দুর্নীতির আভাস পাই কিংবা যেকোনো দুর্নীতির কারণ খুঁজে পাওয়া যায় আমাদের বিভাগীয় প্রসিডিং সেখানে করা হচ্ছে। আমাদের যা যা করণীয় সব করছি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, যেই দুর্নীতি করবে, যেই আইন অমান্য করবে, তার শাস্তি, তার অপরাধ অনুযায়ী মূল্যায়ন হবে, বিচার হবে।

সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম