ইলিশের দাম বাড়া অস্বাভাবিক নয়: শ ম রেজাউল করিম

ইলিশের দাম বাড়া অস্বাভাবিক নয়: শ ম রেজাউল করিম

দিনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলিশের দাম কিছু বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় কোথাও কোথাও কিছু সিন্ডিকেট কাজ করে।

অনেকে প্রচুর ইলিশ আটকে রেখে, বরফে রেখে বাজারে স্বল্প পরিমাণ ইলিশ নিয়ে আসে। এটা দেখার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার বা বাজার ব্যবস্থাপনার।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়ানমারের জেলেরা আমাদের সীমানায় আসে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিস্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের সমুদ্র সীমায় কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ ও আমাদের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক ভাবে আহরণ বন্ধকালে কাজ করছে। কাজেই মিয়ানমার অথবা অন্য কোনো দেশের কেউ এসে আমাদের ভৌগোলিক এলাকায় মৎস্য আহরণ করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি গোপনে সেটি করতে চায় আমরা কিন্তু তাদের গ্রেফতার করি। এখনও আমাদের এখানে গ্রেফতার হওয়া বিদেশ থেকে মৎস্য আহরণ করতে আসা কয়েক জন কারাগারে রয়েছে। এব্যাপারে আমরা কঠোর নজরদারি রাখছি।

মাছের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইলিশের বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এই মন্ত্রণালয়ের নয়। আমি মনে করি পৃথিবীতে অর্থনীতির যে মূল্যস্ফীতি এসেছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। যারা ইলিশ ধরে আনেন এরপর যিনি লেবার আছেন বা যারা বিনিয়োগ করেন তাদের কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে। যিনি মাছটা আহরণ করে আনেন তিনি যদি লেবার হন তাকে ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে যেতে হয়, তিনি ঝুঁকি নিয়ে ইলিশটা নিয়ে আসেন। আমি মনে করি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলিশের দাম কিছু বাড়াটা অস্বাভাবিক নয়।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাজারে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রি করা আমাদের দায়িত্ব না। আমি একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। যখন দেখলাম গরুর মাংস এতো টাকার কমে বিক্রি করতে পারবে না। আমরা রমজান, করোনার সময় ডিম, মাংস ও দুধ কোনো রকম ভর্তুকি ছাড়াই বিক্রি করে দেখিয়েছি। যদি অন্যরা লাভ একটু কম করে, মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে কম দামেও বিক্রি করা সম্ভব।