ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করার ক্ষেত্র চিহ্নিত করুন -ভূমিমন্ত্রী
আজ ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করার ক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য ভূমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ গতকাল রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায়' প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ দেন। ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ, সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ আবু জাফর এবং রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।
ভূমিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, গ্রামীণ কিংবা মফস্বলে অবস্থিত পতিত কিংবা অনাবাদি জমি, উর্বর কৃষি জমি, আবাসিক, বিলাসবহুল, শিল্প কিংবা শহরের বাণিজ্যিক এলাকার জমির ই-নামজারি ফি একই হওয়া উচিত নয়। জমির ব্যবহার ও মূল্যভিত্তিক ই-নামজারি নির্ধারণের আইনি দিক পরীক্ষা করারও নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী। তিনি এসময় জানান, ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
মন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, সারা দেশে খাস জমি, খাল-বিল ও জলমহাল চিহ্নিত করতে হবে এবং ভূমি ডাটা ব্যাংকে এসবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপলোড করতে হবে। তিনি আরো বলেন অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-বিল পুন:খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী নাগরিকদের ভূমি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন যোগাযোগ ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের কথা কেবল মুখে বললে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিলে হবে না, জাতির পিতার দর্শন হৃদয়ে ধারণ করে কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ডের কর্মকর্তাসহ রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয় ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞগণ রিসোর্স পারসন হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৮০ দিনের বিশেষ কর্মসূচির আওতাভুক্ত।
এরপর রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কমপ্লেক্সে অবস্থিত রংপুর উপভূমি সংস্কার কমিশনারের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এসময় ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন এবং উপভূমি সংস্কার কমিশনার মোঃ রেজাউল কবীরসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃপিআইডি