বিএনপি ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যাবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যাবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাস। এতে মূল বক্তা ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
কামরুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী কারাগারে রয়েছে। এতে সরকার ও আওয়ামী লীগের কোনো হাত নেই। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না, তা নির্ভর করছে আদালতের ওপর। খালেদা জিয়ার কারণে নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের কর্মীরাও নেতাদের কথা বিশ্বাস করে না। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের অন্তিম ঘণ্টা বেজে যাবে।
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার কোনো পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের নেই। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রুটিন ওয়ার্ক কাজ করবেন। সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। অহেতুক বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে, বিভ্রান্তি না করে আগামী নির্বাচনে অংশ নিন।'
প্রয়াত জিল্লুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, জিল্লুর রহমান দুর্দিনে শুধু আওয়ামী লীগের হালই ধরেননি, তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আপনজন। তিনি সারাজীবন নীতি ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই জননেতা হয়েছেন। তিনি ছিলেন সাদামাটা জীবনের অধিকারী। নীতির প্রশ্নে আপোষহীন।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে-দুর্দিনে জিল্লুর রহমান নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছেন। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করেছেন। দলের সাথে কখনো বেঈমানি করেন নাই। তিনি ছিলেন তৃণমুল নেতাকর্মীদের নেতা। বন্ধু ও ভাইয়ের মত সবার সাথে আচরণ করতেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, খোকসা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বিটু, রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
সূত্রঃ দৈনিক সমকাল
ছবিঃ সংগৃহীত