লক্ষ্য অর্জনের ঘাটতি-গাফিলতি ধরা পড়ে এপিএতে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরের ফলে লক্ষ্য অর্জনের পথে কোথাও অদক্ষতা, ঘাটতি বা গাফিলতি আছে কি না তা সহজেই ধরা যায়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৩টি দপ্তর, সংস্থা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য সচিব আবদুল মালেকের সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা চুক্তিতে সই করেন।
সচিব জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পাদিত এপিএ’র ৯৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।
ইনু বলেন, জাতীয় বাজেটে যেসব লক্ষ্য নির্ধারিত হয় তা কীভাবে অর্জন করা যায় সে বিষয়ে বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কারণ প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্য অর্জন করার জন্য কর্মকৌশল করে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হচ্ছে।
“এই চুক্তির মধ্য দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে স্ব স্ব বিভাগগুলো কি কি কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করেছেন তা বাস্তবায়নের সময় কাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে, লক্ষ্য অর্জনে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারবে।
“লক্ষ্য অর্জনের পথে কোথায় অদক্ষতা, ঘাটতি, গাফিলতি রয়েছে সেটাও আমরা ধরতে পারব। স্ব স্ব অধিদপ্তরের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এটা প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলেই সাড়ে ৭ এর উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, আশা করছি এবারও সাড়ে ৭ এর উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করব।
চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত কাজ করে বিভিন্ন লক্ষ্যের থেকে বেশি এপিএ বাস্তবায়নের উপর জোর দেন জাসদ সভাপতি ইনু।
তিনি বলেন, “আপনি যে লক্ষ্য ঠিক করে দেন সেটা অর্জন করলেই যে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন তা ঠিক না, আপনি ১০৫ শতাংশও করতে পারেন, আরও বাড়তি করতে পারেন।
“এই চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে চুক্তির নির্ঘণ্ট অনুযায়ী আপনারা কাজ করবেন এবং চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করবেন।”
এপিএ-কে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে কার্যপ্রণালি সঠিকভাবে করার দলিল উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, কাজ কীভাবে করবেন এটি তার নির্দেশনা।
বিভিন্ন প্রকল্প সঠিকভাবে তদারকিতে গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্পে ৮০-৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে সেগুলো যেন আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে করতে পারি, নির্বাচনের আগে সকল শক্তি নিয়োগ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।
তদারকি জোরদার হলে প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় বলেও মনে করেন তারানা হালিম।
সূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ছবিঃ পিআইডি