মার্চ-এপ্রিলে পুনরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হবে: খাদ্যমন্ত্রী

মার্চ-এপ্রিলে পুনরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলে পুনরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হবে। 

তিনি বলেন, ওএমসের ( ট্রাকে খোলা বাজারে চাল বিক্রি) চাল বিক্রি বর্তমানে বিভাগীয় পর্যায়ে চালু রয়েছে। আগামী মার্চে দেশব্যাপী এ কার্যক্রমও চালু হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খাদ্য ভবন সভাকক্ষে সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্য সংগ্রহ করতে না পারায় খাদ্যের মজুদ কমে গিয়েছিল। তাই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। তবে আগামী মার্চ-এপ্রিলে পুনরায় এ কর্মসূচি চালু হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে চাল দেওয়া হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমেদ, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান প্রমুখ।

 

সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ

ছবিঃ সংগৃহীত

 

এই ধরনের ঘটনা সাধারণত স্বপ্ন, সিনেমা, নাটক অথবা সাহিত্যে দেখা যায়। বিষয়টি হলো কোন দেশের এক দিনের রাজা অথবা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসা। চেয়ারে বসামাত্রই দেশটির নানা অনিয়ম-অনাচার দূর করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করা। কিন্তু এবারের ঘটনাটি পুরোপুরি সত্য। তাও আবার যেনতেন দেশ নয় কানাডার মতো একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসা! সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত পিজে লাখানপাল নামে এক তরুণ দেশটির এক দিনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দফতরে সে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জন্য রাখা একটি চেয়ারে বসে কেটেছে তার সারাটা দিন। দেখেছে সব কাজকর্ম। তবে এর পেছনের ঘটনাটি একটু বলে রাখা প্রয়োজন। ১৯ বছর বয়সী লাখানপালের আদি বাড়ি ভারতের পাঞ্জাবে। এক ধরনের জটিল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ছিল ছেলেটি। ক্রমেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসছিল তার। এরপর লাখানপালের সামনে সুযোগ আসে ‘মেক আ উইশ’ নামের এক কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার। এই কর্মসূচীর উদ্দেশ্য মরণব্যাধিতে আক্রান্ত কোন তরুণের শেষ ইচ্ছা পূরণে কাজ করা। আয়োজকদেরও চেষ্টা থাকে আক্রান্তের শেষ ইচ্ছা পূরণে সবকিছু করার। এরপর ছেলেটির কাছে জানতে চাওয়া হয় তার শেষ ইচ্ছার কথা। এ সময় আয়োজকদের উদ্দেশ্যে লাখানপালের ঝটপট উত্তরÑ আমি কানাডার প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। এ কথা শুনে আয়োজকদের চোখ কপালে ওঠার যোগাড়। এভাবে আস্তে আস্তে ছেলেটির এই ইচ্ছার কথা পৌঁছে যায় খোদ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কানে।

প্রধানমন্ত্রী এই ছেলেটির ইচ্ছা পূরণে এগিয়ে আসেন। সুযোগ করে দেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী দফতরে পৌঁছানোর পর ছেলেটিকে সম্ভাষণ জানাতে এগিয়ে আসেন ট্রুডো। শুধু কি তাই? ট্রুডো বলেন, তুমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চাও তাই না? তোমার সময় কিন্তু শুরু। এরপর লাখানপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কানাডার গবর্নর জেনারেল ডেভিড জনসন। ছেলেটির সঙ্গে দেখা করার পর তিনি টুইটও করেন। তাতে লেখেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী পিজের সঙ্গে দেখা করে আমি খুশি হয়েছি। তিনিই আমাদের জাতির পরবর্তী নেতা।

শুধু কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয়, পুরো পাঁচ দিন রাজকীয়ভাবে পুরো পরিবারসহ অটোয়া সফর করে প্রাভোজোত। এর মধ্যে ছিল কানাডার পার্লামেন্ট ভবন পরিদর্শন, সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ, একটি শপথ অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রীর মতো পূর্ণ মর্যাদার নিরাপত্তা পাওয়া।

১৯৮৮ সালে ভারতের পাঞ্জাবের শহর মান্দি আহমেদগড় থেকে কানাডায় আসেন তার বাবা। বাবা সুরিন্দার লাখানপালের রয়েছে একটি অটোমেকানিকের দোকান। তিন বছর আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে প্রাভোজোতের। এর পর বিমর্ষ হয়ে পড়ে পুরো পরিবার। তবে প্রাভোজোত এক দিনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় দীর্ঘদিন পর হাসি ফোটে পরিবারের মুখে

- See more at: http://www.dailyjanakantha.com/details/article/176674/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80#sthash.gF6i5mTN.dpuf